ঘুম আসছেনা? জানেন কি, কি ক্ষতি হচ্ছে, আর করণীয় কি?
ঘুমের ক্ষতিকর দিক/ পর্যাপ্ত ঘুম হলে কি সমস্যা হতে পারে, বয়স অনুযায়ী ঘুমের পরিমাণ, স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য করণীয়, ঘুমের সমস্যায় যে খাবারগুলো সহায়তা করে। বিস্তারিত.......
সঠিক ঘুম বিনামূল্যের প্রাকৃতিক “হিলিং থেরাপি” হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের সুস্থ রাখে। কিন্তু ক্রনিক স্লিপা ডিপ্রাইভেশন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নান ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। যেমনঃ
![]() |
ঘুম না আসা |
- চিন্তা, পর্যবেক্ষণ ও মনোনিবেশ করতে না পারা
- মন-মেজাজের পরিবর্তন
- দুর্বল স্মৃতিশক্তি
- দিনের বেলায় ক্লান্তি
- দূর্বল ইমিউনিটি
- লিবিডোর অভাব
- ডায়াবেটিসের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দেয়
- রোগীদের ক্ষেত্রে হাইপারটেনশন ও হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়
- স্থুলতা ও হরমোনের তারতাম্য ব্যাহত করে।
তাই, ঘুমের গুরত্বকে অবহেলা করবেন না। জীবনযাপনের সঠিক পথ অবলম্বনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক চিকিৎসাপদ্ধতির সাহায্য নিলে, সমস্যার মূল কারণকে নির্ধারণ করার মাধ্যমে ফলপ্রসূ সমাধান পাওয়া যেতে পারে।
বয়স অনুপাতে দৈনিক যতটুকু ঘুম প্রয়োজনঃ
তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া ও জলদি ঘুম থেকে উঠে পড়া শুধুমাত্র আপনাকে সুস্থ, ধনী ও জ্ঞানী করেই তোলেনা, বরং আপনার হার্টকে সুরক্ষিত রাখে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী, হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে রাত ১০ টা থেকে ১১ টা হলো ঘুমিয়ে পড়ার আদর্শ সময়।
স্লিপ হাইজিন বা স্বাস্থ্যসম্মত ঘুম হলো কতগুলি স্বাস্থ্যকর কাজকর্ম , আচরণ অথবা অভ্যাস যা ঘুম ভালো হওয়ার জন্য সহায়ক। আসুন, স্বাস্থ্যসম্মত ঘুমের কিছু নিয়মকানুন অভ্যাস করার ব্যাপারে আলোচনা করি-
- অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকার চেষ্টা করবেন না। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া এবং সূর্যোদয় হওয়ার আগে উঠে পড়ার অভ্যাস করুন।
- নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর যথাসম্ভব চেষ্টা করুন যা আপনাকে পর্যাপ্তভাবে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
- জরুরী দরকার না থাকলে বেডরুমে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- আপনার শোয়ার ঘরের আলো নিভিয়ে অন্ধকার করে রাখুন । যেহেতু ঘুমের জন্য দায়ী মেলাটোনিন অন্ধকারেই ক্ষরিত হয়।
- রাত হওয়ার সাথে সাথে পানি খাওয়া কম করা উচিত।
- রাতে কম খান এবং ঘুমাতে যাওয়ার ২ঘন্টা আগে খাওয়া শেষ করার চেষ্টা করুন।
- রাতের খাবার পর কিছুক্ষণ হাঁটুন।
- রাতে চা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- সারাদিন শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন।
- এমন খাবার খান যা মেলাটোনিন অর্থাৎ ঘুমের জন্য দায়ী হরমোনকে বাড়িয়ে তোলে।
কলাঃ ভিটামিন বি6 ও অ্যামিনো এসিড থাকায়, এটি ঘুমে সাহায্যকারী সেরোটোনিন ক্ষরণে ও দেহে মেলাটোনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ওট্সঃ ওট্স- এ মেলাটোনিন ভরপুর থাকে, এই হরমোন রাতে ক্ষরিত হয় যা ঘুম আসতে সাহায্য করে।
বাদাম ও বীজঃ মিনারেলস ও ম্যাগনিশিয়াম এর চমৎকার উৎস, যা ভালো মানের ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে এবং আপনাকে সতেজ রাখে।
গোটা খাদ্যশস্যঃ ট্রিপটোফ্যান সমৃদ্ধ হওয়ায় গোটা খাদ্যশস্য সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়ায় এবং ঘুমের চক্র স্বাভাবিক করার জন্য মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে।
সবুজ শাক-সবজিঃ সবুজ শাক-সবজিতে ম্যাগনেশিয়াম উপস্থিত থাকায় এটি মেলাটোনিন সংশ্লেষনে সাহায্য করে যা উদ্বেগমুক্ত রাখে ও ঘুমের অনুভূতি আনে।
ফ্যাটি ফিশঃ ভিটামিন ডি, ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর যা ঘুমের ভালো খেয়াল রাখে।
এছাড়াও আরো যা খেতে পারেন- চেরি, ডিম, দুধ, মাছ, ফ্লাক্সসীড্স, সড়িষা, পেস্তাবাদাম, টমেটো, ক্যাপসিকাম, বার্লি, আঙ্গুর ইত্যাদি।
অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতেঃ
- ESR Westergren Method in Bangla. বাংলায় ESR Westergren Measurement ,Test Procedure এবং ESR ভূল হওয়ার কারণ. জানতে ক্লিক করুন
- সবচেয়ে সহজ উপায়ে রক্তের পরিমাণ নির্ণয় বা Easy Haemoglobin Test Procedure. সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
- Semen বা বীর্য কি? কেন বীর্য পরীক্ষা করা হয়? কিভাবে Collection করে? পরীক্ষা পদ্ধতি(Test Procedure), কোন ক্ষেত্রে কোন Opinion হয়, Opinion তৈরির নিয়মসহ বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
- অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis) কি, কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
কোন মন্তব্য নেই